আনঅফিশিয়াল ফোন এখন থেকে বন্ধ হচ্ছে ২০২১

আনঅফিসিয়াল মোবাইল বন্ধ হবে কি, আনঅফিসিয়াল মোবাইল, বন্ধ আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধ, আনঅফিসিয়াল ফোন কি বন্ধ হয়ে যাবে, অফিসিয়াল আনঅফিসিয়াল মোবাইল, আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধ হবে না, আনঅফিসিয়াল ফোন কবে বন্ধ হবে, unofficial phone কি বন্ধ হয়ে যাবে, আনঅফিসিয়াল ফোন বন্ধের নোটিশ, আন অফিসিয়াল মোবাইল,
বন্ধ হচ্ছে আনঅফিশিয়াল মোবাইল ২০২১

আজ অক্টোবরের প্রথম তারিখ হতে দেশের ভিতর  অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের কার্যক্রম শুরু করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)।

গতকাল  অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের নেটওয়ার্ক থেকে বন্ধকরণ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১ জুলাই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (NEIR) এর প্রক্রিয়া শুরু  হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে নেটওয়ার্কে নতুনভাবে সংযুক্ত সব ধরনের অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

একই সঙ্গে কোনো আমদানিকারক অথবা স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ হ্যান্ডসেট উৎপাদন অথবা আমদানি না করার জন্য এবং কোনো বিক্রেতাকে  অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি না করার জন্য বলেছে বিটিআরসি।

কোনো বিক্রেতা অবৈধভাবে বিক্রি করলে ক্রেতার দাবি অনুযায়ী হ্যান্ডসেটের দাম অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। এর পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

মোবাইল কেনার আগে তা আসল কি না নকল, তা যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে । এজন্য মেসেজ অপশন থেকে KYD ও ১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বার লিখুন (উদাহরণ স্বরুপ KYD 123884789012545) ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া,  বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনা হ্যান্ডসেট ব্যবহারের আগে www.neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

বিটিআরসি বলছে, দেশের ভিতর প্রতি বছর বিক্রি হওয়া মোবাইল ফোনের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ভাগ অবৈধ উপায়ে কর ফাঁকি দিয়ে বাজারে ঢুকছে। ফলে ৮০০ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে দেশের সরকার।

বিটিআরসি'র স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, নিবন্ধনের মাধ্যমে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল হ্যান্ডসেটগুলি প্রতিরোধ করা যাবে। গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিন্ত করা যাবে। মোবাইল ফোনের হিসাবও রাখা যাবে। সবশেষে সরকারি রাজস্বের ক্ষতি ঠেকানোও সম্ভব হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দেশের ভিতর যত হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে অথবা স্থানীয়ভাবে যে মোবাইলগুলো অ্যাসেমব্লিং বা উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোর সবই IMEI নম্বর নিয়ে একটি বৈধ ফোনের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে প্রতিটি সক্রিয় সেট নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

ব্যবহারকারীর হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য তাদের নিবন্ধিত সিমটি সক্রিয় করলেই ওই নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হয়ে যাবে। তবে একই হ্যান্ডসেটে দ্বিতীয় সিম ব্যবহার করতে চাইলে সেই সিমটিও একই নামে নিবন্ধিত হতে হবে।

কারও যদি একাধিক সেট থাকে তিনি অন্যান্য সেটে যে সিম সক্রিয় করবেন সেই সিমটি যে নামে নিবন্ধিত হবে ফোনটিও সেই একই নামে নিবন্ধিত হতে হবে। এই সেটে ভিন্ন নামে নিবন্ধিত কোনো সিম কাজ করবে না। অর্থাৎ সিম ও সেট একই নামের নিবন্ধিত না হলে ওই সেটে আর সিম সক্রিয় হবে না বলে জানিয়েছে।


আপনার মন্তব্য জানান

নবীনতর পূর্বতন